এই জরাজীর্ণ পৃথিবী কাগজের দুর্গ, রঙ ও রূপ এবং চতুর কৌশল।
জলের এক ফোঁটা বা একটু হাওয়া তার গৌরব নষ্ট করে; এক নিমিষেই তার জীবন শেষ হয়ে যায়। ||4||
এ যেন নদীর ধারের কাছে একটি গাছের ঘর, সেই বাড়িতে সাপের আস্তানা।
নদী উপচে পড়লে ট্রি হাউসের কী হয়? সাপের কামড়, মনের মত দ্বৈত। ||5||
গুরুর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাদুমন্ত্রের মাধ্যমে এবং গুরুর শিক্ষার শব্দের ধ্যানের মাধ্যমে, পাপ এবং দুর্নীতি দূর হয়ে যায়।
ভগবানের আশ্চর্য ও অনন্য ভক্তিমূলক উপাসনার মাধ্যমে মন ও শরীর শীতল ও প্রশান্ত হয় এবং সত্য লাভ হয়। ||6||
যা আছে সব তোমার কাছে ভিক্ষা করে; তুমি সকল প্রাণীর প্রতি করুণাময়।
আমি তোমার অভয়ারণ্য চাই; হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আমার সম্মান রক্ষা করুন এবং আমাকে সত্যের সাথে আশীর্বাদ করুন। ||7||
পার্থিব বিষয় ও জড়তায় আবদ্ধ, অন্ধ বোঝে না; সে একজন খুনি কসাইয়ের মত কাজ করে।
কিন্তু যদি সে সত্যিকারের গুরুর সাথে সাক্ষাত করে, তাহলে সে বুঝতে পারে এবং বুঝতে পারে এবং তার মন সত্যিকারের আধ্যাত্মিক জ্ঞানে আচ্ছন্ন হয়। ||8||
সত্য ব্যতীত এই মূল্যহীন দেহ মিথ্যা; আমি এই বিষয়ে আমার গুরুর সাথে পরামর্শ করেছি।
হে নানক, যে ঈশ্বর আমার কাছে ঈশ্বরকে প্রকাশ করেছেন; সত্য ছাড়া সমস্ত পৃথিবী স্বপ্ন মাত্র। ||9||2||
মালার, প্রথম মেহল:
রেইন বার্ড আর মাছ পানিতে শান্তি পায়; ঘণ্টার শব্দে হরিণ খুশি হয়। ||1||
রাত্রে বর্ষার পাখি কিচিরমিচির করে, হে মা। ||1||বিরাম ||
হে আমার প্রিয়, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কখনো শেষ হবে না, যদি তোমার ইচ্ছা হয়। ||2||
ঘুম চলে গেছে, আমার শরীর থেকে অহংকার নিঃশেষ হয়ে গেছে; আমার হৃদয় সত্যের শিক্ষা দিয়ে প্রবিষ্ট হয়. ||3||
গাছ-গাছালির মাঝে উড়ে বেড়াই, আমি ক্ষুধার্ত থাকি; ভগবানের নাম প্রেমের সাথে পান করে আমি সন্তুষ্ট। ||4||
আমি তোমার দিকে তাকাই, আর আমার জিভ তোমার কাছে চিৎকার করে; আমি তোমার দর্শনের জন্য তৃষ্ণার্ত। ||5||
আমার প্রেয়সীকে ছাড়া, আমি যতই নিজেকে সাজাই, ততই আমার শরীর জ্বলে; এই কাপড়গুলো আমার শরীরে ভালো দেখায় না। ||6||
আমার প্রিয়তমকে ছাড়া আমি এক মুহূর্তের জন্যও বাঁচতে পারি না; তার সাথে দেখা ছাড়া আমি ঘুমাতে পারি না। ||7||
তার স্বামী প্রভু কাছাকাছি, কিন্তু হতভাগা বধূ তা জানে না। সত্য গুরু তাকে তার কাছে প্রকাশ করেন। ||8||
যখন সে স্বজ্ঞাত স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁর সাথে দেখা করে, তখন সে শান্তি পায়; শব্দের শব্দ কামনার আগুন নিভিয়ে দেয়। ||9||
নানক বলেন, হে প্রভু, তোমার দ্বারা আমার মন প্রসন্ন ও প্রশান্ত হয়েছে; আমি তোমার মূল্য প্রকাশ করতে পারি না। ||10||3||
মালার, প্রথম মেহল, অষ্টপদেয়া, দ্বিতীয় ঘর:
এক সর্বজনীন সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। সত্য গুরুর কৃপায়:
জলের ভারে পৃথিবী বেঁকে যায়,
উঁচু পাহাড় এবং পাতালের গুহা।
গুরুর বাণী মনে করলে সাগর শান্ত হয়।
অহংকে বশ করেই মুক্তির পথ পাওয়া যায়। ||1||
আমি অন্ধ; আমি নামের আলো খুঁজি।
আমি প্রভুর নাম, নামকে সমর্থন করি। আমি গুরুর ভয়ে রহস্যের পথে চলি। ||1||বিরাম ||