স্বয়্যা
অতঃপর যশোদা কৃষ্ণের চরণ থেকে উঠে গেলেন এবং তিনি কৃষ্ণকে নানাভাবে প্রশংসা করলেন
���হে প্রভু! তুমি জগতের মালিক আর রহমতের সাগর, অজ্ঞতায় নিজেকে মা ভেবেছিলাম।
���আমি নিম্ন বুদ্ধির অধিকারী, আমার সকল পাপ ক্ষমা কর
��� তখন হরি (কৃষ্ণ) মুখ বন্ধ করে স্নেহের প্রভাবে এই সত্যটি গোপন করলেন।135।
কাবিট
যশোধা সদয়ভাবে গোপীদের বললেন যে গাওয়াল ছেলেরা খেলার জন্য বান থেকে লাঠি (ছোট টুকরো) ভেঙেছে।
যশোদা খুব দয়া করে কৃষ্ণকে গোপদের বাচ্চাদের সাথে বনে যেতে এবং খেলতে দেয়, কিন্তু অন্য বাচ্চাদের অভিযোগে মা আবার লাঠি দিয়ে কৃষ্ণকে মারতে শুরু করে।
তারপর কৃষ্ণের শরীরে লাঠির চিহ্ন দেখে মা অনুরাগে কাঁদতে লাগলেন।
কবি শ্যাম বলেছেন, এমন সাধু ব্যক্তিত্বকে মারধরের কথা ভাবা যায় না, তার সামনে রাগও করা উচিত নয়।
দোহরা
মা যশোদা উঠে গেছেন দই মন্থন করতে
তিনি তার মুখ থেকে তার পুত্রের প্রশংসা উচ্চারণ করছেন এবং তার প্রশংসা বর্ণনা করা যাবে না।137।
স্বয়্যা
একবার যশোদা গোপীদের সাথে দই মন্থন করছিলেন
সে তার কোমর বেঁধে কৃষ্ণের ধ্যান করছিল
কোমরে টানটান করে ছোট ছোট ঘণ্টা ছিল
কবি শ্যাম বলেছেন যে দান ও তপস্যার মহিমা বর্ণনা করা যায় না, মা আনন্দে মুখ থেকে কৃষ্ণের গান গাইছেন।138।
মা যশোদার দুগ্ধে ভরে উঠলে কৃষ্ণ জেগে উঠলেন
তিনি তাকে দুধ দিতে লাগলেন এবং কৃষ্ণ সেই আনন্দে লীন হলেন
ওদিকে পাত্রের দুধ টক হয়ে গেল, সেই পাত্রের কথা ভেবে মা দেখতে গেলেন, তখন কৃষ্ণ কাঁদতে লাগলেন।
তিনি (ব্রজের রাজা) এতটাই রেগে গেলেন যে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন।139।
দোহরা
মনে মনে ক্রোধে ভরা শ্রীকৃষ্ণ বেরিয়ে গেলেন