তারপর জমনা আরজানকে এভাবে বলল
তখন যমুনা অর্জুনকে বললেন, "আমার হৃদয় আমাকে কৃষ্ণকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, তাই আমি এখানে তপস্যা করেছি।" 2094।
অর্জন কৃষ্ণকে বললেন,
স্বয়্যা
তখন অর্জুন এসে মাথা নত করে কৃষ্ণকে এইভাবে বললেন,
তখন অর্জুন মাথা নিচু করে কৃষ্ণকে অনুরোধ করলেন, “হে ভগবান! তিনি যমুনা, সূর্য কন্যা এবং সমগ্র বিশ্ব তাকে জানে
(শ্রীকৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করলেন) কিসের জন্য তিনি অনুতপ্ত হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন এবং (কেন) ঘরের সমস্ত কাজ ভুলে গেছেন?
তখন কৃষ্ণ বললেন, "কেন সে একজন নারী তপস্বীর পোশাক ধারণ করে তার ঘরোয়া দায়িত্ব ত্যাগ করেছে?" অর্জুন উত্তর দিলেন, "তিনি আপনাকে উপলব্ধি করার জন্য এটি করেছেন।" 2095।
অর্জুনের কথা শুনে কৃষ্ণ যমুনার বাহু ধরে তাকে রথে আরোহণ করলেন।
তার মুখ ছিল চাঁদের মতো এবং তার গালের উজ্জ্বলতা ছিল দীপ্তিময়
(শ্রী কৃষ্ণ) তাকে অনেক কৃপা দেখিয়েছিলেন, এমন কৃপা শ্রী কৃষ্ণ অন্য কাউকে (পূর্বে) করেননি।
কৃষ্ণ তার প্রতি এতটাই করুণাময় ছিলেন যতটা তিনি অন্য কোন মহিলার কাছে ছিলেন না এবং তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসার গল্পটি বিশ্ব বিখ্যাত।2096।
যমুনাকে তার রথে বসিয়ে কৃষ্ণ তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন
বিবাহের পর তিনি যুধিষ্ঠরের দরবারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাজা যুধিষ্ঠর তাঁর পায়ে পড়লেন।
যুধিষ্টার বললেন, “হে প্রভু! আপনি কিভাবে দ্বারকা শহর তৈরি করেছেন? দয়া করে এটা সম্পর্কে আমাকে বলুন
” তারপর কৃষ্ণ বিশ্বকর্মাকে আদেশ দেন, যিনি সেখানে আরেকটি সমতুল্য শহর তৈরি করেন।
বাচিত্তর নাটকে যমুনাকে শিকার ও বিয়ে করার বর্ণনার শেষ।
এবার শুরু হল উজ্জয়নের রাজার কন্যার বিবাহের বর্ণনা
স্বয়্যা
পাণ্ডব ও কুন্তীর বিদায়ের পর কৃষ্ণ উজ্জয়িনী শহরে পৌঁছেন
দুর্যোধন মনে মনে ইচ্ছা করলেন উজ্জয়নের রাজার কন্যাকে বিয়ে করবেন
দুর্যোধনের চিতও তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়েছিল।
এই উদ্দেশ্যে তিনি তার শয্যাশায়ী সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এ দিকে আসেন।
সেদিক থেকে দুর্যোধন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে এলেন এবং এদিক থেকে কৃষ্ণ সেখানে পৌঁছলেন