কিন্তু মহাকালের কোনো অনুভূতি ছিল না
আর সবাই মহাযুগে লীন হয়ে গেল। 309।
(মহাযুগে) অস্ত্র শোষিত হতে দেখে দৈত্যরা খুব ক্রুদ্ধ হলেন
আর অস্ট্ররা বর্ম নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ল।
তারা খুব রাগান্বিত ছিল এবং অস্ত্র ব্যবহার করত
আর দশ দিক দিয়ে 'মারো মারো' বলে চিৎকার করত। 310।
কান দিয়ে মারো মারো আওয়াজ শুনছি
কাল বিভিন্ন অস্ত্র হাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
(তিনি) নির্লজ্জভাবে হত্যা এবং অস্ত্র গুলি করে
এবং অনেক দুষ্ট লোককে নিমিষেই ধ্বংস করে দিল। 311।
তাদের মাংস ও ফল পৃথিবীতে পড়ে,
তার কাছ থেকে অনেক দৈত্য দেহ গ্রহণ করেছিল।
মাও মাও' আর উত্তেজনায় লাফাচ্ছে
দল গঠন করুন এবং এগিয়ে আসুন। 312।
(মহাযুগ) এক এক করে হাজার টুকরো হয়ে গেল
যা থেকে রণে বিশাল দৈত্যের জন্ম হয়।
লাখ লাখ টুকরো টুকরো করে তাদের
শকুন ও শকুন সেগুলো খেয়ে ফেলল। 313।
যে সৈন্যরা ছুড়ে ফেলেছিল
তারাও অমিত রূপে আরোহণ করে।
মহাকাল তাদের মোটেও ভয় পেত না
ধ্বংস (তাদের) সমগ্র সেনাবাহিনী. 314।
কোথাও যোদ্ধারা 'মারো মারো' (চিৎকার) স্লোগান দিচ্ছিল।
আর (কোথাও) শেয়াল ও শকুন মাংস নিয়ে পালাচ্ছিল।
কোথাও ভূত আর ভ্যাম্পায়ারের চিৎকার।
(কোথাও) ডাকানি আর বড় ঢল ('ঝাক্কি' শকুন) চিৎকার করছিল। 315।
যেখানে কোকিল আর কাক ডাকত,
(সেখানে) জাফরান দিয়ে রক্ত মাখানো হচ্ছিল।
বড় বড় ঢোল বাজছে দফের মতো
আর দেবতা ও দৈত্যদের মন মোহিত হতে হবে। 316।
তীরগুলি জাফরান-ভরা বার্ণিশের বলের মতো
আর ভারী বর্শা গুলালের মুষ্টির মত।
ঢালগুলি ড্রাম দিয়ে তৈরি
আর বন্দুকগুলো যেন অনেকগুলো পিস্তল দিয়ে তৈরি। 317।
এমন ভয়ানক যুদ্ধ সংঘটিত হল।
ইন্দ্র ও চন্দ্রের প্রজারা কেঁপে উঠল।
পশু-পাখিরাও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
তারা বাড়িঘর ছেড়ে বনের দিকে ছুটে গেল। 318।
কোথাও ছুটে চলা ঘোড়া ছুটছিল,
(কোথাও) যোদ্ধারা উঠে দাড়াচ্ছিল সামনের দিকে।
কোথাও কালের ভয়ঙ্কর হাসি শোনা যাচ্ছিল।
(তার) ভয়ঙ্কর নাম ছিল ভীতিকর। 319।
হিরোরা উঠে দাঁড়াল।
ভীতু দেখে তারা ঘরে ঢুকে গেল।
সোফি আর সুম খুব বিরক্ত হয়ে গেল।
ড্রাকুলা দশ দিকে পালিয়ে গেল। 320।
পা হারালো কত বীর
এবং তাদের হাতে খালি ক্লাব এবং সোজা তরবারি নিয়ে (গোল ঘুরে)।