স্বয়্যা
মাঘ মাসের পর ফাগুনের মৌসুমে সবাই হোলি খেলা শুরু করে
সবাই যুগলবন্দি হয়ে একত্রিত হয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান গাইত
নারীদের গায়ে নানা রঙের ছিটা দেওয়া হতো এবং নারীরা পুরুষদের লাঠি দিয়ে মারতো (স্নেহে)
কবি শ্যাম বলেছেন যে কৃষ্ণ এবং সুন্দরী মেয়েরা একসাথে এই উত্তাল হোলি খেলছে।225।
বসন্ত ঋতু শেষ হলে এবং গ্রীষ্মের শুরু হলে, কৃষ্ণ আড়ম্বর সহকারে হোলি খেলতে শুরু করেন
লোকেরা উভয় দিক থেকে ঢেলে দিয়েছিল এবং কৃষ্ণকে তাদের নেতা হিসাবে দেখে খুশি হয়েছিল
এই সব গণ্ডগোলের মধ্যে প্রলম্ব নামে এক রাক্ষস যুবকের রূপ ধরে এসে অন্য যুবকদের সঙ্গে মিশে গেল।
তিনি কৃষ্ণকে কাঁধে নিয়ে উড়ে গেলেন এবং কৃষ্ণ তার মুষ্টি দিয়ে সেই অসুরের পতন ঘটালেন।226।
কৃষ্ণ নেতা হয়ে সুন্দর ছেলেদের সাথে খেলতে লাগলেন
রাক্ষসও কৃষ্ণের খেলার সাথী হয়ে ওঠে এবং সেই নাটকে বলরাম জয়ী হন এবং কৃষ্ণ পরাজিত হন
তখন কৃষ্ণ হলধরকে সেই অসুরের শরীরে বসতে বললেন
বলরাম তার শরীরে পা রেখে তার পতন ঘটিয়ে তাকে (মাটিতে) নিক্ষেপ করেন এবং তার মুষ্টি দিয়ে তাকে হত্যা করেন।227।
বাচিত্তর নাটকে কৃষ্ণাবতারে রাক্ষস পলম্ব বধের সমাপ্তি।
এবার শুরু হলো লুকোচুরি নাটকের বর্ণনা
স্বয়্যা
হলধর রাক্ষস প্রলম্বকে বধ করে কৃষ্ণকে ডাকলেন
তারপর কৃষ্ণ গরু ও বাছুরের মুখে চুম্বন করলেন
খুশি হয়ে করুণার ভান্ডার (কৃষ্ণ) লুকোচুরি খেলা শুরু করলেন।
��� এই দৃশ্য কবি বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।
কাবিট
এক গোপা ছেলে আরেক ছেলের চোখ বন্ধ করে তাকে ছেড়ে অন্য একজনের চোখ বন্ধ করে
তখন সেই ছেলেটি সেই ছেলেটির চোখ বন্ধ করে যেটি চোখ বন্ধ করে ছিল এবং যার শরীরে হাত দিয়ে স্পর্শ করা হয়েছিল
তারপর প্রতারণার সাথে, তাকে হাত দিয়ে স্পর্শ না করার চেষ্টা করে