দুজনেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলেন
এবং তাদের তলোয়ার টেনে নিয়ে ক্রোধে জ্বলে উঠল।
বাবা তলোয়ার নিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করলেন
আর ছেলে (তলোয়ার) বের করে বাবার মাথায় আঘাত করল। 14.
আমি এই চরিত্রটি স্থির থাকতে দেখেছি।
ওহ ঈশ্বর! আমার চোখ ফেটে গেল না কেন?
তারা বাজি বাঁচাতে চায়নি।
বলেই দুজনের ডাক এল। 15।
হে প্রভু! এখন কি করব বলুন।
আমি কি আমার হৃদয়ে ছুরিকাঘাত করে মারা যাব?
সন্ন্যাসী হয়ে বুনে যান
আর রাজকীয় ছাতা ঝুলুক ছোট ছেলের মাথায়। 16.
প্রথমে স্বামী ও ছেলেকে হত্যা করে
তারপর ছোট ছেলেকে রাজত্ব দিলেন।
তারপর যোগের রূপ ধারণ করলেন
তারপর উত্তর দিকের পথে পড়ল। 17.
দ্বৈত:
সেখানে গিয়ে শিবের কাছে নানাভাবে তপস্যা করলেন।
রুদ্র ('ভুটা রত') মহিলার কঠোর সাধনা (তপস্যা) দেখে খুশি হয়েছিল।
চব্বিশ:
(শিব) বললেন হে কন্যা! (তুমি) ভার মাং ('বারম্ব্যাহ')
যা তোমার হৃদয়ে ছড়িয়ে আছে।
(রাণী বললেন) হে পিতা! যদি তুমি দিতে চাও, (তাহলে আমি) তোমার কাছ থেকে এই বর পাব
বার্ধক্য থেকে তরুণ হওয়া। 19.
দ্বৈত:
শিব (বর) দিয়েছেন এবং (তিনি) বৃদ্ধ থেকে তরুণে পরিবর্তিত হয়েছেন।
(সেই মহিলা) প্রাচীন চামড়া খুলে ফেলল যেন সাপ তার নখর খুলে নেয়। 20।
চব্বিশ:
যখন সে বার্ধক্য থেকে তরুণ হয়ে ওঠে
তাই সে একই শহরে চলে গেল
যেখানে (তার) ছেলে শিকার খেলতে গিয়েছিল
এবং (অনেক) ভাল্লুক, সিংহ ও সিংহকে হত্যা করা হয়েছিল। 21।
তারপর (সেই মহিলা) নিজেকে হরিণের মতো ছদ্মবেশ ধারণ করল
আর শরীরের সুন্দর সব বর্ম খুলে ফেলল।
সে হরিণের রূপ ধারণ করে সেখানে গেল
যেখানে ছেলে শিকার খেলছিল। 22।
পুত্র তার (হরিণ-হরণ-রানি) পিছনে (ঘোড়া) তাড়া করল।
আর কোন সাহাবীর দিকে তাকালো না।
সে একাই চলে গেল বহুদূর
যেখানে খুব ভয়ানক বান ছিল। 23।
যেখানে সাল আর তমালের বড় বড় ব্রিচ ছিল
আর ছিল চুন, কদম, জটা বট।
সিবার (প্রতীক বা শ্রীফল) ছিল তাল, খেজুর ইত্যাদির ভারী (গাছ)।
(এটা দেখে মনে হচ্ছিল) যেন আল্লাহ তাদের নিজ হাতে বানিয়েছেন। 24.
সেখানে পৌঁছানোর পর হরিণটি নিখোঁজ হয়
আর ছদ্মবেশে আভিজাত্য।
তিনি এসে তাঁর রূপ দেখালেন
আর বিমোহিত করেছেন রাজ কুনওয়ার। 25।