পৃথিবীর প্রভু, পৃথিবীর বোঝা হালকা করার জন্য, এই যুদ্ধটি ঘটিয়েছিলেন।
এই নেশাগ্রস্ত হাতিগুলো মেঘের মত ভেঁপু বাজাতে লাগলো এবং তাদের তুঁতগুলো সারসের সারির মত দেখা দিল।
তাদের বর্ম পরা এবং তাদের হাতে খঞ্জর ধরা, যোদ্ধাদের মনে হচ্ছিল যেন বিদ্যুতের দীপ্তি।
অসুরদের বাহিনী অন্ধকার বর্ণের মত শত্রু দেবতাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল।
দোহরা,
সমস্ত রাক্ষস একত্রিত হয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল।
তারা পণ্যের নগরে গিয়ে দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে ঘেরাও করে।
স্বয়্যা,
দুর্গের সমস্ত দ্বার ও পোর্টাল খুলে দিয়ে, রাক্ষসদের শত্রু ইন্দ্রের সৈন্যরা বাইরে বেরিয়েছিল।
সকলে যুদ্ধক্ষেত্রে সমবেত হইল এবং শত্রুর সৈন্য ইন্দ্রের সৈন্যবাহিনীকে দেখে পাতার মত কেঁপে উঠল।
হাতি ও ঘোড়া লম্বা গাছ এবং যোদ্ধারা পায়ে ও রথে চলাফেরা করে ফল, ফুল ও কুঁড়ির মতো।
সুম্ভের মেঘসদৃশ শক্তিকে ধ্বংস করতে ইন্দ্র পরাক্রমশালী বায়ুদেবতার মতো এগিয়ে এলেন।
ইন্দ্র এদিক থেকে প্রচণ্ড ক্রোধে এগিয়ে এলেন আর ওপাশ থেকে সুম্ভ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন।
যোদ্ধাদের হাতে ধনুক, তীর, তলোয়ার, গদা প্রভৃতি রয়েছে এবং তারা তাদের শরীরে বর্ম পরিহিত।
নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর খেলা শুরু হয় দুই পক্ষ থেকেই।
ভয়ঙ্কর শব্দ শুনে শিয়াল ও শকুন যুদ্ধক্ষেত্রে ঢেলে দিতে লাগল এবং শিবের গণদের মধ্যে আনন্দ বেড়ে গেল।65।,
এ দিকে ইন্দ্র প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হচ্ছেন এবং অন্যদিকে রাক্ষসদের সমস্ত সৈন্য সমবেত হয়েছে।
দানবদের বাহিনী প্রভুর সূর্য-রথের মতো দেখা যাচ্ছে যা অন্ধকার মেঘের মেঘে ঘেরা।
ইন্দ্রের ধনুক থেকে নিক্ষিপ্ত তীরের তীক্ষ্ণ ধার, শত্রুদের হৃদয়কে বিদ্ধ করে জ্বলজ্বল করে।
পাহাড়ের গুহায় ছড়িয়ে পড়ল একসময়ের ছোবলের ঠোঁটের মতো।
রাজা সুম্ভকে তীর বিদ্ধ দেখে অসুর-বাহিনী তাদের তলোয়ার বের করে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
তারা মাঠে অনেক শত্রুকে হত্যা করেছিল এবং এইভাবে দেবতাদের রক্ত প্রবাহিত হয়েছিল।
বিভিন্ন প্রকার গন, শৃগাল, শকুন, ভূত প্রভৃতি যুদ্ধক্ষেত্রে আবির্ভূত হইয়া এমনভাবে নানা ধ্বনি উৎপন্ন করিল,
যেন যোদ্ধারা সরস্বতী নদীতে স্নানের সময় তাদের নানা ধরনের পাপ মোচন করে।