শত্রুর এই সমস্ত কথাবার্তা কৃষ্ণের মনের গভীরে চলে গেল, যিনি প্রচণ্ড ক্রোধে তাঁর ধনুক, তলোয়ার, গদা ইত্যাদি ধরে তাঁর উপর পড়লেন।
ধন সিং যুদ্ধে ফিরে এসেছে এবং ধনুক নিতে ভয় পায় না।
ধন সিংও নির্ভীক চিত্তে তার ধনুক ধরেছিলেন এবং যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন।1115।
এ দিকে বলরাম ক্রোধে ভরা, অন্যদিকে ধন সিং ক্রোধে লাল হয়ে গেল।
তারা দুজনেই মারামারি করে এবং তাদের ক্ষত থেকে রক্ত বের হয়ে তাদের শরীর লাল করে দেয়
দেহ-মনের চেতনা ভুলে শত্রুরা চিৎকার করে বলতে লাগলো ‘খুন, হত্যা’।
কবি বলেছেন যে তারা হাতির সাথে হাতির মত যুদ্ধ করেছে।1116।
তিনি বলরামের আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করছিলেন এবং সেখানে এবং তারপর তিনি দৌড়ে এসে তাঁর উপর তরবারি দিয়ে আঘাত করলেন।
ভাইকে কষ্টে দেখে
কৃষ্ণ কিছু যাদব যোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে সেই দিকে চলে গেলেন
তিনি ধন সিংকে ঘিরে রেখেছেন চাঁদের চারদিকে লক্ষ তারার মতো।1117।
যখন ধান দীঘ ঘেরাও করা হল, তখন কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গজ সিং সেখানে এল
বলরাম তা দেখে রথে আরোহণ করে ঐ দিকে এলেন।
মাঝখানে তীর দিয়ে আটকে রেখে তাকে কৃষ্ণের কাছে আসতে দেওয়া হয়নি।
এবং তিনি গজ সিংকে সেখানে পৌঁছতে দেননি এবং তাকে মাঝপথে বাধা দেন, গজ সিং সেখানে থামলেন যেন হাতির পা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেছে।1118।
কৃষ্ণ ধন সিংহের সাথে যুদ্ধ করছেন এবং তাদের কাউকেই হত্যা করা হচ্ছে না
এবার কৃষ্ণ, প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হয়ে নিজের চাকতিতে নিজের চাকতিটা তুলে ধরলেন
তিনি চাকতিটি নিক্ষেপ করেন, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ধন সিংহের মাথা কেটে ফেলে
তিনি ট্যাঙ্ক থেকে বের করা মাছের মতো পৃথিবীতে কড়া নাড়লেন।
ধন সিং নিহত হওয়ার সাথে সাথে যাদবরা তা দেখে তাদের শঙ্খ বাজিয়ে দেয়
অনেক যোদ্ধা কৃষ্ণের সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং কাটা হয়েছিল, তারা স্বর্গে চলে গিয়েছিল
গজ সিং যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, এই দৃশ্য দেখে তিনি আশ্চর্য হয়ে গেলেন
তখন পলায়নরত সৈন্যরা তার কাছে এসে বলল, এখন আমরাই একমাত্র বেঁচে আছি এবং আপনার কাছে এসেছি।
তাদের মুখ থেকে এই কথা শুনে পরাক্রমশালী বীর গজ সিং ভীষণ ক্রোধান্বিত হলেন