রাজা কখনো অন্য রাণীদের ডাকেননি
এমনকি ভুলেও তিনি তাদের প্রাসাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেননি।
সব রাণীরা এই নিয়ে চিন্তিত হতেন।
তাই সবাই রাজার উপর কৌশল, মন্ত্র ও তন্ত্র করতেন। 2.
চব্বিশ:
ওই সব যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে
কিন্তু কোনোভাবে প্রেয়সী হাতে আসেনি।
তখন এক সখী এভাবে বললেন,
হে রাণী! তুমি আমার (এক) কথা শোন। 3.
আমি যদি তার চেয়ে (রাজার) প্রেম ভাঙ্গি
তাহলে আমি তোমার কাছ থেকে কী পাব (অর্থাৎ কী পুরস্কার পাব)।
(আমি দেখাব) রাজা বীর কালাকে মুখও দেখাবেন না
এবং দিন এবং রাত আপনার কাছে আসবে। 4.
এই কথা বলে মেয়েটা চলে গেল
আর পৌঁছে গেল মহারাজের প্রাসাদে।
প্রেমে পড়েন স্বামী-স্ত্রী
আর মুখ থেকে কিছু বলবেন না। 5.
রাজা রাণীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে কি বলেছে?
তাই কথা শুনে স্বামী (রাজা) চুপ হয়ে গেলেন।
স্বামী (রাণীকে) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি বললে?
তারপর মহিলা (রানী) কথা শুনে চুপ হয়ে গেলেন। 6.
স্বামী বুঝতে পেরেছে যে মহিলাটি লুকিয়ে রেখেছে (কিছু)।
আর রানী বুঝতে পারলেন রাজা কিছু একটা লুকিয়ে রেখেছেন।
ক্ষোভের শিল্প ছড়িয়ে পড়ে দুজনের মনে
আর প্রেমের সব রেওয়াজ ছেড়ে দিল। 7.
রাজা সেই রানীর প্রেমে পড়ে গেলেন
যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন এভাবে।
(রাজা এবার) তার প্রতি প্রেম করতে লাগলেন
আর মন থেকে বিয়ার শিল্প ভুলে গেছে। 8.
এখানে শ্রীচরিত্রোপাখ্যানের ত্রিয়া চরিত্রের মন্ত্রি ভূপ সম্বাদের ১৫৯তম অধ্যায়ের সমাপ্তি, সবই শুভ। 159.3156। যায়
চব্বিশ:
বলবন্ত সিং ছিলেন তিরহুতের একজন মহান রাজা।
(তাঁর তেজ ছিল এমন) যেন বিদাত তাঁকে দ্বিতীয় সূর্য বানিয়েছেন।
তিনি খুব সুন্দর ছিল
যা থেকে পাখি, মীরগা (বন্যপ্রাণী), যক্ষ ও ভুজং মুগ্ধ হয়েছিল। 1.
তার প্রাসাদে ষাট জন রানী ছিল।
তার মত সুন্দরী আর কোন নারী ছিল না।
স্বামী সবাইকে আদর করতেন
আর সময়ে সময়ে রাতিকড়া করতেন। 2.
রুকুম কালা রানী খুব মজার ছিল।
তিনি তার সমস্ত চাকরি এবং ভাবমূর্তি হারিয়েছিলেন।
যখন লালসা এসে তাকে যন্ত্রণা দেয়
তাই দাসী পাঠিয়ে রাজাকে ডাকত। 3.
দ্বৈত:
রাজার কাছে কৃষাণ কালা নামে এক দাসীকে পাঠানো হল।
তাই তিনি তার (রাজা) প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েন যাকে কাম দেব অধৈর্য করে তুলেছিলেন। 4.
চব্বিশ:
(দাসী বলিতে লাগিল) আরে রাজন! আমার কথা শোন