যশোদার বক্তৃতা:
স্বয়্যা
যিনি (তার) পিতাকে মহান সাপের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং যিনি পরাক্রমশালী যোদ্ধা বকাসুরকে হত্যা করেছিলেন।
তিনি, যিনি তাঁর পিতাকে প্রচণ্ড সাপের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, তিনি, যিনি শক্তিশালী রাক্ষস বকাসুরকে হত্যা করেছিলেন, তিনি, প্রিয় হলধরের (বলরাম) ভাই যিনি অঘাসুর নামক রাক্ষসকে হত্যা করেছিলেন।
আর যাঁর চরণ ভগবানের ধ্যানে উপলব্ধি করা যায়,
হে বন্ধু! যে আমার ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মথুরার বাসিন্দারা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
সমস্ত গোপীদের বিলাপঃ
স্বয়্যা
এই কথা শুনে সমস্ত গোপী দুঃখে ভরে গেল
তাদের মনের আনন্দ শেষ হয়ে গেল এবং তারা সবাই কৃষ্ণের ধ্যান করল
তাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে এবং হতাশ হয়ে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
তারা হাহাকার করতে লাগলো এবং তাদের মন ও শরীর সব সুখ হারিয়ে ফেলল।
কবি শ্যাম যেমন বলেছেন, গোপীরা (গোপীরা) ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তাদের ভালবাসার কারণে কৃষ্ণের গুণগান গায়।
কৃষ্ণের প্রেমে অতিশয় উদ্বিগ্ন হয়ে তারা সৌরথ, শুদ্ধ মালহার, বিলাওয়াল, সারঙ্গ প্রভৃতির বাদ্যযন্ত্রের সুর মনে রেখে তাঁর গুণগান গায়।
তারা তাদের হৃদয়ে তাঁর (শ্রীকৃষ্ণ) ধ্যান ধরে রাখে (কিন্তু) সেই ধ্যান থেকে অনেক কষ্টও পায়।
তারা মনে মনে তাঁর ধ্যান করছে এবং এতে অত্যন্ত ব্যথিত হচ্ছে, তারা রাতে চাঁদ দেখে পদ্মের মত শুকিয়ে যাচ্ছে।862।
এখন কৃষ্ণ শহরের বাসিন্দাদের সাথে নিজেকে লীন করেছেন এবং আমাদের মন থেকে ভুলে গেছেন
তিনি আমাদের এখানে রেখে গেছেন এবং এখন আমরা তার ভালবাসা ত্যাগ করেছি
কতই না আশ্চর্যের বিষয় যে, সেখানে তিনি নারীর প্রভাবে এত বেশি এসেছেন যে, সেখানে তিনি আমাদের কাছে একটি বার্তাও পাঠাননি।
এই বলে কেউ মাটিতে পড়ল আর কেউ কাঁদতে শুরু করল।
এইভাবে অত্যন্ত দুঃখ পেয়ে গোপীরা একে অপরের সাথে কথা বলছে
তাদের হৃদয়ে দুঃখ বাড়ছে, কারণ তাদের প্রেমে জড়িয়ে কৃষ্ণ তাদের ত্যাগ করে চলে গেছেন।
কখনও কখনও তারা ক্রোধে বলে কেন কৃষ্ণ মানুষের বিদ্রূপাত্মক বাণ যত্ন করেন না
যে তিনি আমাদের ব্রজে রেখে গেছেন এবং সেখানে তিনি শহরের বাসিন্দাদের সাথে জড়িত।