স্বয়্যা
শ্রীকৃষ্ণ জি তাদের (গাওয়াল ছেলেদের) ক্ষুধার্ত দেখে বললেন যে (তোমাদের) এই কাজটি একসাথে করা উচিত।
তাদের খুব ক্ষুধার্ত দেখে কৃষ্ণ বললেন, ‘তুমি এটা করতে পারো: ব্রাহ্মণদের স্ত্রীদের কাছে যাও, এই ব্রাহ্মণদের বুদ্ধি কম।
(কারণ) যাদের জন্য তারা যজ্ঞ করেন, হোম করেন এবং 'সতসাই' (দুর্গা সপ্তশতী) জপ করেন,
যে কারণে তারা যজ্ঞ ও হবন করে, এই মূর্খরা এর তাৎপর্য জানে না এবং মিষ্টিকে তেতোতে পরিণত করছে।
গোপরা মাথা নিচু করে আবার ব্রাহ্মণদের বাড়িতে পৌঁছে গেল
তারা ব্রাহ্মণদের স্ত্রীদের বললেনঃ কৃষ্ণ খুব ক্ষুধার্ত।
একথা শুনে সকল (ব্রাহ্মণ) স্ত্রীরা উঠে দাঁড়ালেন এবং খুশি হলেন।
স্ত্রীরা কৃষ্ণের কথা শুনে খুশি হয়ে উঠে, তাদের কষ্ট দূর করার জন্য তার সাথে দেখা করতে দৌড়ে গেল।313।
ব্রাহ্মণদের নিষেধ করা সত্ত্বেও স্ত্রীরা থামেননি এবং কৃষ্ণের সাথে দেখা করতে ছুটে যান
কেউ পথে পড়ে, কেউ উঠে আবার দৌড়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে কৃষ্ণের কাছে এল
কবি (তাঁর) মুখ থেকে সেই সৌন্দর্যের সুন্দর উপমা বর্ণনা করেছেন এভাবে
এই দৃশ্যটি কবি এভাবে বর্ণনা করেছেন: নারীরা স্রোতের মতো প্রচণ্ড গতিতে চলল খড়ের বন্ধ ভেদ করে।
ব্রাহ্মণদের খুব ভাগ্যবান স্ত্রীরা কৃষ্ণের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল
তারা কৃষ্ণের চরণ স্পর্শ করার জন্য অগ্রসর হয়েছিল, তারা চন্দ্রমুখী এবং ভ্রু-চোখযুক্ত
তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দর এবং সংখ্যায় এত বেশি যে ব্রহ্মাও তাদের গণনা করতে পারবেন না
তারা মন্ত্রের আওতাধীন স্ত্রী সর্পের মত ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
দোহরা
শ্রীকৃষ্ণের মুখ দেখে সবাই শান্ত হয়ে গেল
তারা সকলেই কৃষ্ণের মুখ দেখে আর আশেপাশের নারীদের দেখে সান্ত্বনা পেয়েছিলেন, প্রেমের দেবতাও সেই সান্ত্বনা ভাগ করে নিলেন।316।
স্বয়্যা
তার চোখ সূক্ষ্ম পদ্মফুলের মতো এবং তার মাথায় ময়ূরের পালক চিত্তাকর্ষক দেখাচ্ছে
তার ভ্রু লক্ষ চাঁদের মত তার মুখের জাঁকজমক বাড়িয়ে দিয়েছে
এই বন্ধু কৃষ্ণের কথা কি বলব, শত্রুরাও তাকে দেখে মুগ্ধ।