তারা একে অপরের বীরদের উপর আক্রমণ করেছে
এবং টুকরো টুকরো করে মাটিতে ফেলে দেয়।
কত মামলা ধরা পড়ে ফেলে রেখে গেছে
এবং শত্রুর বাহিনীকে টুকরো টুকরো করে দেয়। ৩৩৩।
কোথাও তলোয়ারের ধার জ্বলছিল।
(কোথাও) প্রচণ্ড মাথা ও ধড় জ্বলছিল।
ভাগ্যের সাজে সজ্জিত বর্ম নিয়ে মিছিল করছিল কত মানুষ
আর কত যোদ্ধা অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ৩৩৪।
কত মহান ও মহান বীরকে হত্যা করা হয়েছে
তারা মাটিতে অশুচি পড়ে ছিল।
জলপ্রপাতের মতো (তাদের শরীর থেকে) রক্ত ঝরছে।
অত্যন্ত দুঃখজনক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যা বর্ণনা করা যায় না। 335।
(কোথাও) ডাইনিরা (ডাইনি) রক্ত পান করছিল।
কোথাও মাংস খেয়ে কাক ডাকছিল।
সেখানে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
(সেটা অনুমান করতে) আমার মাথায় আসে না। 336।
কোথাও বড় বড় দৈত্যদের হত্যা করা হয়েছে
আর কোথাও ভয়ানক দাঁত পড়ে গেছে।
কেউ কেউ প্রবল যুদ্ধে
তাদের মুখ থেকে রক্ত বমি হচ্ছিল। 337।
দৈত্যদের মাথায় বড় বড় শিং ছিল
আর যার ঠোঁট ছিল সিংহের মত বড়।
(তাদের) রক্তমাখা নাইনগুলো ছিল হ্রদের মতো বড়
যারা দেখতো ভারী মায়া। ৩৩৮।
(ওই দৈত্যরা) ছিল মহান যোদ্ধা এবং শক্তিতে পরাক্রমশালী,
যিনি জল থালে বহু শত্রুকে পরাজিত করেছিলেন।
(তিনি ছিলেন) পরাক্রমশালী, পরাক্রমশালী এবং ভয়ানক।
(তাদের) বালা (দুলা দে) বেছে নিয়ে বর্শা দিয়ে হত্যা করেছিল। ৩৩৯।
কত বীরকে অনায়াসে হত্যা করা হলো
আর সিংহ কত কান ছিঁড়ে ফেলল।
কত শত্রুকে পরাজিত করেছে মহাযুগে।
পরিবর্তনের মতো সব (শত্রু) দল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। 340।
বর্শা দিয়ে কত যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
টুকরা টুকরা কিছু.
খড়্গের ধার দিয়ে অনেককে মেরেছে।
অন্তহীন যোদ্ধাদের লোহা দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছিল (মানে বর্ম দিয়ে)। 341।
কি সুন্দর সুদর্শন সৈনিক
শূল ও সাঁইথী দিয়ে যোদ্ধাদের হত্যা করা হয়।
এভাবে (অস্ত্রের আঘাতে) যোদ্ধারা নেমে পড়ল।
(মনে হচ্ছিল) যেন ভূমিকম্পে মিনারটি পড়ে গেছে। 342।
এইভাবে মহান বীররা যুদ্ধে পড়েছিল,
ইন্দ্র যেন বজ্রের আঘাতে পর্বত ভেঙে ফেলেছেন।
(তারা) খুব মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল,
যেন (জুমার নামাযের সময় ব্যান্ডেজের মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের) অবস্থান গাউন কুতুবের মতো করা হয়। 343।
রক্তে ঢেকে পালাচ্ছে অনেকেই,
যেন হোলি খেলে বাড়ি এসেছে।
(তারা) এমন বেহায়াপনায় পালিয়ে যাচ্ছিল,
ঠিক যেমন জুয়াড়ি টাকা হারায় (পালায়)। 344।