মহা কুমারী নামে তার একটি কন্যা ছিল
তার মতো কেউ কাউকে সৃষ্টি করেনি। 1.
সেখানে এক শাহের ছেলে সুজন ছিল।
(তাঁর) নাম ছিল চন্দ্র সেন এবং (তিনি) অত্যন্ত শক্তিশালী ছিলেন।
মহা কুমারী তার সৌন্দর্য দেখেছিলেন
আর কথা ও কাজ করে মন শান্ত হলো। 2.
(তিনি) একজন দাসী পাঠিয়ে তাকে ডাকলেন
এবং পোস্ত, শিং এবং আফিমের দাবি।
তাকে নানাভাবে খাওয়ানো হয়েছে
আর অনেক মজা করার পর ওকে জড়িয়ে ধরলাম। 3.
(তিনি) প্রিয়তমাকে মদ্যপানে মাতাল করলেন
এবং তার স্তন থেকে বৈষম্য কখনও.
(তিনি) নানাভাবে জাফিস পরতেন
আর দুই গালে চুমু খেয়ে বলিহারে যেতেন। 4.
সেই বন্ধুটিও সম্পূর্ণ মগ্ন ছিল,
(তিনি) রেহাই পাননি।
(দুজনেই) একে অপরকে জড়িয়ে উপভোগ করতেন।
তারা চুম্বন ও আলিঙ্গন করত এবং বিভিন্ন ভঙ্গি করত। 5.
(তিনি) তার মধ্যে এমনভাবে নিমগ্ন হয়ে গেলেন যে, আর কোনো বিদায় নেই।
নানাভাবে তাকে আঁকড়ে ধরে সে সুখ পাচ্ছিল।
(রাজ কুমারী ভাবতে লাগলেন যে) আমি কীভাবে এবং কী পদ্ধতিতে এটি নিয়ে যাব
এবং তাই এখন আমার কি করা উচিত? 6.
(তিনি) জেনেশুনে একজন ব্রাহ্মণকে হত্যা করেছেন
এবং রাজার কাছে গিয়ে বললেন, (আমি মহাপাপ করেছি,
তাই) এখন আমি (কাশীতে) যাব এবং কালবত্র নিয়ে যাব
এবং (তাকে দিয়ে নিজেকে ঢেকে) আমি আমার শরীর ঘুরিয়ে দিয়ে স্বর্গে চলে যাব। 7.
বাবা বাধা দিতে থাকলেন, কিন্তু রাজি হলেন না।
রানীও (তার) পায়ে আঁকড়ে রইল।
মন্ত্রের শক্তিতে তিনি কালবত্রকে মাথায় ধারণ করলেন
কিন্তু তার একটি চুলও তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
(তিনি এমন ঠাট্টা করলেন যে) সবাই দেখলেন যে তিনি এটা নিয়েছেন।
এভাবে (তিনি) তাদের দৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন।
সে তার বন্ধুর বাসায় গেল।
ওই মহিলার রহস্য কেউ বুঝতে পারেনি। 9.
দ্বৈত:
এভাবে মা বাবাকে এড়িয়ে মিত্রার সাথে চলে গেল।
কবি শ্যাম বলেন, তখনই গল্পের প্রসঙ্গ শেষ। 10.
এখানে শ্রীচরিত্রোপাখ্যানের ত্রিয়া চরিত্রের মন্ত্রি ভূপ সম্বাদের ৪০০তম অধ্যায়ের সমাপ্তি। যায়
চব্বিশ:
কারু নামে এক রাজা শুনতেন।
যাকে বিশ্বে অমিত তেজ বলে মনে করা হতো।
তাঁর বাড়ি চল্লিশটি ('চিহাল') ধন-সম্পদে ভরা ছিল।
যার শেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 1.
সেই শহরে এক শাহের মেয়ের কথা শোনা গেল।
তাকে মূর্তির মতো (খুব সুন্দর) মনে করা হত।
রাজার রূপ দেখে মুগ্ধ হলেন।
তার কাছে একজন দাসী পাঠানো হলো। 2.
তার (মহিলা) নাম ছিল বসন্ত কুমারী।