আসার সময় কৃষ্ণ সামনে দাঁড়িয়ে কুব্জার সাথে দেখা করলেন
কুব্জা কৃষ্ণের মোহনীয় রূপ দেখল, সে রাজার জন্য মলম নিয়ে যাচ্ছিল, সে মনে মনে ভাবল, কৃষ্ণের শরীরে সেই মলম লাগানোর সুযোগ পেলে খুব ভালো হবে।
কৃষ্ণ যখন তার প্রেম কল্পনা করলেন, তিনি নিজেই বললেন, এটা নিয়ে এসো এবং আমার কাছে প্রয়োগ কর
��� কবি সেই দর্শন বর্ণনা করেছেন।
যাদব রাজার কথা মেনে সেই মহিলা তার শরীরে সেই মলম লাগালেন
কৃষ্ণের সৌন্দর্য দেখে কবি শ্যাম চরম সুখ লাভ করেছেন
তিনি একই ভগবান, ব্রহ্মাও তাঁর প্রশংসা করে তাঁর রহস্য জানতে পারেননি
এই সেবক অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, যিনি নিজ হাতে কৃষ্ণের দেহ স্পর্শ করেছেন।829।
কৃষ্ণ কুব্জার পায়ের উপর পা রেখে তার হাত নিজের হাতে ধরলেন
তিনি সেই কুঁজ-ব্যাককে সোজা করলেন এবং এই কাজ করার শক্তি পৃথিবীর আর কারও কাছে নেই
যে বকাসুরকে হত্যা করেছে, সে এখন মথুরার রাজা কংসকে হত্যা করবে
এই লাফ-ব্যাকডের ভাগ্য প্রশংসনীয়, যিনি স্বয়ং প্রভুর দ্বারা একজন ডাক্তার হিসাবে চিকিত্সা করেছিলেন।830।
উত্তরে বক্তৃতা:
স্বয়্যা
কুব্জ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, হে ভগবান! চল এখন আমার বাসায় যাই।
কুব্জা ভগবানকে তার সাথে তার বাড়িতে যেতে বললেন, কৃষ্ণের মুখ দেখে তিনি মুগ্ধ হলেন, কিন্তু রাজাকেও ভয় পেলেন।
শ্রী কৃষ্ণ বুঝতে পেরেছিলেন যে (এটি) আমার (প্রেমের) আবাস হয়ে গেছে এবং কৌশলে তাকে বললেন-
কৃষ্ণ ভাবলেন যে তিনি তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, কিন্তু তাকে মায়ায় রেখে ভগবান (কৃষ্ণ) বললেন, কংসকে হত্যা করার পর আমি তোমার ইচ্ছা পূরণ করব।
কুব্জার কাজ শেষ করে কৃষ্ণ নগর দর্শনে মগ্ন হলেন
মহিলারা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল, তিনি তাদের দেখতে সেখানে গেলেন
রাজার গুপ্তচররা কৃষ্ণকে নিষেধ করলেও তিনি ক্রোধে ভরা
তিনি তার ধনুকটি জোর করে টেনে আনলেন এবং এর টুং দিয়ে রাজার মহিলারা ভয়ে জেগে উঠল।
রাগান্বিত হয়ে কৃষ্ণ ভয় সৃষ্টি করে একই জায়গায় দাঁড়ালেন
ক্রোধে চোখ মেলে সিংহের মতো দাঁড়িয়ে ছিল, যেই তাকে দেখল সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল
এই দৃশ্য দেখে ব্রহ্মা ও ইন্দ্রও ভয়ে ভরে গেলেন
তার ধনুক ভেঙ্গে, কৃষ্ণ তার ধারালো বিট দিয়ে হত্যা করতে লাগলেন।
কবির বক্তব্যঃ দোহরা
কৃষ্ণের গল্পের খাতিরে ধনুকের শক্তির কথা বলেছি
হে প্রভু! আমি অত্যন্ত এবং চরম ভুল করেছি, এর জন্য আমাকে ক্ষমা করুন।834.
স্বয়্যা
ধনুকের বিট হাতে নিয়ে কৃষ্ণ সেখানে মহান বীরদের বধ করতে লাগলেন
সেখানে সেই বীররাও প্রচণ্ড ক্রোধে কৃষ্ণের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন
কৃষ্ণও যুদ্ধে মগ্ন হয়ে তাদের হত্যা করতে লাগলেন
সেখানে এত বড় আওয়াজ হল যে একথা শুনে শিবও উঠলেন এবং পালিয়ে গেলেন।
কাবিট
যেখানে মহান যোদ্ধারা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, সেখানে কৃষ্ণ ভীষণভাবে ক্রোধান্বিত হয়ে যুদ্ধ করছেন
কাঠমিস্ত্রির কাটা গাছের মতো যোদ্ধারা পড়ে যাচ্ছে
যোদ্ধাদের বন্যা বইছে এবং মাথা ও তরবারির রক্ত বয়ে যাচ্ছে
শিব এবং গৌরী সাদা ষাঁড়ে চড়ে এসেছিলেন, কিন্তু এখানে তারা লাল রঙে রঞ্জিত হয়েছিল।
কৃষ্ণ এবং বলরাম প্রচন্ড ক্রোধে যুদ্ধ করেছিলেন, যার ফলে সমস্ত যোদ্ধা পালিয়ে গিয়েছিল
ধনুকের আঘাতে যোদ্ধারা পড়ে গেলেন এবং মনে হল রাজা কংসের সমস্ত সৈন্যই পৃথিবীতে পড়ে গেল।
অনেক যোদ্ধা উঠে পালিয়ে যায় এবং অনেকে আবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণও বনের গরম জলের মত ক্রোধে পুড়তে লাগলেন, হাতির শুঁড় থেকে রক্তের ছিটা পড়ছে এবং সারা আকাশ লাল ছিটকিনির মত লালচে দেখা যাচ্ছে।837
দোহরা
কৃষ্ণ ও বলরাম ধনুকের আঘাতে শত্রুর সমগ্র সৈন্যবাহিনীকে ধ্বংস করে দেন
তার সেনাবাহিনীর হত্যার কথা শুনে কংস আবার সেখানে আরও যোদ্ধা পাঠান।
স্বয়্যা
কৃষ্ণ ধনুকের টুকরো দিয়ে চতুষ্পদ সেনাকে হত্যা করেন