কবি শ্যাম বলেন, (রাধা বললেন) কৃষ্ণের কাছে গিয়ে আমার কথা এভাবে বল।
আমার সমস্ত কথা যাদব রাজাকে বিনা দ্বিধায় বলুন এবং এও বলুন, হে কৃষ্ণ! তুমি শুধু চন্দ্রভাগাকে ভালবাস এবং আমার প্রতি তোমার কোন ভালবাসা নেই।���704।
রাধার কাছ থেকে এই কথা শুনে গোপী উঠে পড়লেন তার পায়ে।
রাধার এই কথা শুনে সেই গোপী তার পায়ের কাছে পড়ে বলল, হে রাধা! কৃষাণ শুধু তোমাকেই ভালোবাসে এবং সে চন্দ্রভাগার প্রতি তার ভালোবাসা ত্যাগ করেছে
কবি শ্যাম বলেছেন যে দূত রাধাকে বলছিলেন যে তিনি তাকে দেখার জন্য অধৈর্য ছিলেন।
���হে সুন্দরী মেয়ে! আমি বলি তোমার কাছে এখন তুমি তাড়াতাড়ি যাও কৃষ্ণ।���705।
���হে বন্ধু! তুমি অজ্ঞ এবং প্রেমময় আনন্দের রহস্য বুঝতে পারো না
কৃষ্ণ আপনাকে ডাকছেন, দয়া করে যান, কৃষ্ণ আপনাকে এখানে-সেখানে খুঁজছেন এবং আপনাকে ছাড়া জলও পান করছেন না
���তুমি শুধু বলেছিলে যে তুমি কৃষ্ণের কাছে যাবে না
মনে হয় তুমি যৌবন লাভে পাগল হয়ে গেছ।���706।
সেই গোপী (রাধা) কৃষ্ণের প্রেম ত্যাগ করে নিজেকে অহংকারে উপবিষ্ট করেছেন
সে বগলের মত মনোনিবেশ করছে, সে জানে ভালোবাসার আবাস এখন কাছেই
অতএব, হে ভদ্রলোকগণ! তোমায় বলি, আমার মনে যা জন্মেছে তাই বলে।
তখন মইনপ্রভা আবার বলল ���হে বন্ধু! আমি বলেছি, আমার মনে যা এসেছে, কিন্তু মনে হচ্ছে তোমার যৌবন চারদিনের অতিথি মাত্র।
���যিনি সকলের ভোগকারী, তুমি তার কাছে যাও না
হে গোপী! আপনি কেবল স্থির আছেন এবং কৃষ্ণ এর দ্বারা কিছুই হারাবেন না, কেবল আপনিই হেরে যাবেন
এটি হল কাজের শর্ত যা (আপনি) সন্দেহ করেন।
যে (বা সে) যৌবন সম্বন্ধে অহংকারী, সে (বা সে) এমন অবস্থায় থাকবে যে, কৃষ্ণ তাকে (বা তাকে) ত্যাগ করবেন একজন যোগীর মতো তার কাঁধে সিংহের চামড়া রেখে। .708।
���তোমার চোখ ডোয়ের মত আর কোমরটা সিংহীর মত পাতলা।
তোমার মুখ চাঁদ বা পদ্মের মত মোহনীয়
���তুমি তোমার অধ্যবসায়ের মধ্যে নিমগ্ন, এতে সে কিছুই হারাবে না
আপনি না খেয়ে আপনার নিজের শরীরের বিরুদ্ধবাদী হয়ে উঠছেন, কারণ কৃষ্ণকে নিয়ে আপনার জেদ থেকে কোনো লাভ হবে না।���709।
গোপীর এই কথা শুনে রাধা খুব রেগে গেলেন।
গোপীর এই কথা শুনে রাধা ক্রোধে ভরা, তার চোখ নাচিয়ে ভ্রু ও মন রাগে ভরে উঠল,