তাই হাত দিয়ে তুলে পাত্রে রাখলেন। 2.
উপরে ছিল জল এবং নীচে ছিল রত্ন।
কিন্তু এই অভিযোগ (চুরির) কেউ বুঝতে পারেনি।
অনেকে তার কাছ থেকে পানি পান করেছে,
কিন্তু কেউ পার্থক্য বুঝতে পারেনি। 3.
রানীও সেই পাত্র দেখল
এবং রাজার চোখ দিয়েও চলে গেল।
কারো কাছ থেকে কিছুই বোঝা গেল না।
(এভাবে সে) মহিলার গহনা চুরি করেছিল। 4.
এখানে শ্রীচরিত্রোপাখ্যানের ত্রিয়া চরিত্রের মন্ত্রি ভূপ সম্বাদের ৩২৯ তম চরিত্রের সমাপ্তি, সবই শুভ।৩২৯.৬১৭৮। যায়
চব্বিশ:
দক্ষিণে বিরহাবতী নামক একটি শহর।
বীর সেন নামে এক জ্ঞানী রাজা ছিলেন।
(তাঁর) বাড়িতে বিরহ দেই নামে এক মহিলা ছিলেন।
যা আগুনের শিখার মতো। 1.
তার ইসকা (দেই) নামে একটি কন্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।
যার প্রতিমূর্তি ছিল সূর্য ও চন্দ্রের সাথে।
তার মতো আর কোনো নারী ছিল না।
মহিলাটি নিজের মতোই ছিল। 2.
এমনই ছিল তার শরীরের সৌন্দর্য
এমনকি শচী ও পার্বতীও তার মতো ছিলেন না (সৌন্দর্যে)।
তিনি সুন্দরী হিসেবে সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিলেন।
(তিনি) যক্ষ ও গন্ধর্বদেরও প্রিয় ছিলেন। 3.
সেখানে কাঞ্চন সেন নামে এক দৈত্য বাস করতেন।
(তিনি ছিলেন) অত্যন্ত শক্তিশালী, সুদর্শন এবং তীক্ষ্ণ।
তিনি সকল রাক্ষসকে নিস্কান্তক (কষ্টমুক্ত) করে দিলেন।
যে তার সামনে শক্তিশালী ছিল, তাকে হত্যা করেছে। 4.
মাঝরাতে ওই শহরে আসতেন
আর প্রতিদিন একজন মানুষকে খাবে।
সবার মনে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল।
(সকল) জ্ঞানীরা বসে চিন্তা করে। 5.
এই দানব খুব শক্তিশালী
যে দিনরাত অনেক মানুষকে খায়।
সে কাউকে ভয় পায় না
আর সে মনে মনে নির্ভয়ে ধ্যান করে। 6.
সেই শহরে এক বেশ্যা বাস করত।
যেখানে দৈত্যরা খেত দেশের মানুষকে।
সেই মহিলা (পতিতা) রাজার কাছে এলেন
আর রাজার সৌন্দর্য দেখে সে মুগ্ধ হয়ে গেল।
তিনি রাজার সাথে এইভাবে কথা বললেন
যে আমাকে রাখলে তোমার প্রাসাদে
তাই আমি দৈত্যকে হত্যা করব
আর দূর করবে এই শহরের সব দুঃখ। 8.
(রাজা উত্তর দিলেন) তাহলে আমি তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাব,
হে নারী! যখন তুমি দৈত্যকে হত্যা করবে
দেশ ও সব মানুষ সুখে থাকবে
আর মানুষের মনের সব দুঃখ দূর হবে। 9.
(সেই মহিলা) আটশত শক্ত বেত্রাঘাত চাইল