যে তরবারির ধারে যুদ্ধ করত,
নিমিষেই ধার হয়ে যেত।
তারা এই পৃথিবীতে নেই,
বরং বিমানে চড়ে স্বর্গে যেতেন। 345।
অনেক রানিং পালঙ্ক মার খেয়েছে,
তাদের সবাইকে মহা নরকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
সামনে যারা প্রাণ দিয়েছিল,
অনেক ধরনের দুর্ভাগ্য সেসব পুরুষের ওপর পড়ে। 346.
বজ্র ও তীর বিদ্ধ হয়েছিল কতগুলো
আর অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
অনেক মহান সারথি তাদের তীর (তীরের ধনুক) বেঁধে মাটিতে পড়েছিল,
কিন্তু তারপরও (তাদের) একটা টার্গেট ছিল। 347।
অনেক বীর এক ভয়ানক যুদ্ধ করেছিল।
তারা একে অপরকে প্রচণ্ড আক্রমণ করছিল।
বাজছিল নাগরে, ঢোল আর দমামে
আর সবাই (যোদ্ধা) চিৎকার করছিল 'হত্যা কর'। 348।
তারা বিভিন্নভাবে অস্ত্র ব্যবহার করছিল
এবং তারা একে একে তীর নিক্ষেপ করছিল (যোদ্ধাদের শরীরে)।
প্রণাম করার সময় তারা বর্শা নিক্ষেপ করছিল
আর যে সব যোদ্ধা দুই বাহু নিয়ে যুদ্ধ করছিল তারা মহা আনন্দে নিহত হচ্ছিল। 349।
কোথাও কোথাও ছিল হাতির কাণ্ড।
কোথাও ঘোড়া, সারথি ও হাতির মাথা পড়ে আছে।
কোথাও যোদ্ধাদের পাল ছিল
তীর, বন্দুক ও কামান দিয়ে হত্যা করা হয়। 350।
এভাবে বহু সেনা হতাহত হয়
আর একের পর এক শত্রুবাহিনী পরাজিত হয়।
সেখানে সিংহ সওয়ার (দুলা দে) রেগে যান
আর এখানেই মহাকাল ('অসিধুজা') তলোয়ার নিয়ে পড়ে গেল। 351।
কোথাও কোথাও যুদ্ধের ময়দানে তরবারি-বর্শা জ্বলছিল।
(মনে হচ্ছিল) যেন মাছগুলো জালে বাঁধা (অর্থাৎ আটকা)।
সিংহ সওয়ার (দুলা দেই) শত্রুদের ধ্বংস করেছিল
এবং দৈত্যদের একটি তিলের সমান টুকরো টুকরো করে ফেলল। 352।
কোথাও (ঘোড়ার) খুর কাটা হয়েছে
এবং কোথাও যোদ্ধাদের বর্ম শোভিত ছিল।
কোথাও রক্তের স্রোত বইছে।
(মনে হচ্ছিল) যেন বাগানে ঝর্ণা চলছে। 353।
কোথাও ডাইনিরা রক্ত পান করছিল।
কোথাও শকুন তাদের হৃদয়ের তৃপ্তির জন্য মাংস খাচ্ছিল।
কোথাও কাক ডাকছিল।
কোথাও ভূত-প্রেত মাতাল হয়ে দুলছে। 354।
(কোথাও) ভূতের বউরা হাসতে হাসতে ঘুরে বেড়াত
আর কোথাও ডাকানিরা হাততালি দিচ্ছিল।
কোথাও জোগানরা হাসছিল।
কোথাও ভূতের স্ত্রীরা (ভুতনি) পাগলামি করত।355।
কোথাও যুদ্ধক্ষেত্রে ডাকপিয়নরা বেলচ করত
আর কোথাও কোথাও শকুনের মাংস খাচ্ছিল।
কোথাও ভূত-প্রেত চেঁচামেচি আর হাসছিল।
কোথাও ভূত (ভূত) চিৎকার করছিল। 356।