মৃত্যুপথে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে।
মায়ার প্রভাব মুছে ফেলার ক্ষমতা কারো নেই।
সম্পদ যদি সবচেয়ে নিচু ভাঁড়ের বাড়িতে যায়,
সেই সম্পদ দেখে সবাই তাকে শ্রদ্ধা জানায়।
এমনকি একজন মূর্খকেও চালাক বলে মনে করা হয়, যদি সে ধনী হয়।
ভক্তিপূজা ছাড়া জগৎ পাগল।
সকলের মধ্যে এক প্রভু বিরাজমান।
তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন, যাদের কাছে তিনি তাঁর অনুগ্রহে আশীর্বাদ করেন। ||14||
যুগে যুগে প্রভু চিরস্থায়ী; তার কোনো প্রতিহিংসা নেই।
তিনি জন্ম-মৃত্যুর অধীন নন; তিনি পার্থিব বিষয়ে জড়ান না।
যা দেখা যায়, স্বয়ং প্রভু।
নিজেকে সৃষ্টি করে অন্তরে প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি নিজেই অগাধ; তিনি মানুষকে তাদের বিষয়ের সাথে সংযুক্ত করেন।
তিনি যোগের পথ, জগতের জীবন।
ধার্মিক জীবনযাপন করলে প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায়।
ভগবানের নাম ছাড়া কি করে কেউ মুক্তি পাবে? ||15||
নাম ছাড়া নিজের শরীরও শত্রু।
কেন প্রভুর সাথে দেখা করে মনের বেদনা দূর করে না?
পথিক আসা-যাওয়া করে মহাসড়ক ধরে।
সে এলে কী নিয়ে এসেছিল, যাবার সময় কী নিয়ে যাবে?