যেমন সমস্ত গাছ ও গাছপালা জলের সাথে মিলিত হয়ে অনেক রকমের ফল ও ফুল দেয়, কিন্তু চন্দনের সান্নিধ্য সমস্ত গাছপালাকে চন্দনের মতো সুগন্ধী করে তোলে।
ঠিক যেমন আগুনের সাথে মিলিত হলে অনেক ধাতু গলে যায় এবং শীতল হওয়ার পরে সেই ধাতুটি রয়ে যায়, কিন্তু দার্শনিকের পাথরের সাথে স্পর্শ করলে সেই ধাতু সোনায় পরিণত হয়।
যেমন নক্ষত্র ও গ্রহের অবস্থান অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের (নক্ষত্র) বাইরে বৃষ্টি পড়া মানে শুধু জলের ফোঁটা পড়া, কিন্তু স্বাতী নক্ষত্রের সময় যখন বৃষ্টি হয় এবং সমুদ্রের ঝিনুকের উপর এক ফোঁটা পড়ে তখন তা মুক্তায় পরিণত হয়।
একইভাবে, মায়ায় মগ্ন এবং মায়ার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া এই জগতের দুটি প্রবণতা। কিন্তু প্রকৃত গুরুর কাছে যে অভিপ্রায় ও প্রবণতাই থাকুক না কেন, সে তদনুসারে জাগতিক বা ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য লাভ করে। (৬০৩)